ইলেক্ট্রিক্যাল সেক্টরে একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ জুড়ে আছে সুইচ গিয়ার, সব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টেরই মোটামুটি ধারনা আছে এই সুইচগিয়ার সম্বন্ধে, আজ আমরা এই সুইচগিয়ার নিয়েই আলোচনা করবো , এতে করে আপনারা নিজেদের আরেকটু ঝালিয়ে নিতে পারেন কিংবা ভুলে যাওয়া বিষয় গুলো পূনরায় অন্তস্থ করে নিতে পারেন।
<Switchgear and Protection>
Part: 1 (এই পর্বে থাকছে বৈদ্যুতিক ফল্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য)
সুইচগিয়ারঃ- সুইচগিয়ার কোনো একক বস্তু নয়, এটি বৈদ্যুতিক সিস্টেমের স্বাভাবিক কার্যকালাপের সংযোগকারী, বিচ্ছিন্নকায়ারী, রক্ষনাবেক্ষনকারী যন্ত্রপাতির সহ অবস্থানকে বুঝায়। এর উপাদানগুলো হল- সার্কিট ব্রেকার, রিলে, ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার, বাসবার, কন্ডাকটর ইত্যাদি।
সুইচগিয়ার সিস্টেমের যে বৈশিষ্ট্য থাকা অত্যাবশ্যক তাহলো- সংবেদনশীলতা, বিশ্বস্ততা, উচ্চগতি, স্থায়িত্ব, সম্প্রসারণ সুবিধা ও সরলতা।
বৈদ্যুতিক ফল্ট, এর কারন ও ফল্টের ধরনঃ- যখন দুই বা ততোদিক পরিবাহী স্বাভাবিক ভোল্টেজে কাজ করার সময় যদি একত্রে সংস্পর্শে আসে তখন ফল্ট সংঘটিত হয়েছে বলা হয়।
ইন্সুলেটর ফেইলার, লাইনের আকস্মিক ক্ষয়ক্ষতি, লাইটনিং চার্জ, ভোল্টেজ ড্রপ, আন-ব্যালান্স এবং স্টাবিলিটির পতনের ফলেই ইলেক্ট্রিক্যাল ফল্ট সংঘটিত হয়।
শর্ট সার্কিট ফল্ট মেইনলি ২প্রকার-
১: সিমেট্রিক্যাল ফল্ট: বৈদ্যুতিক সিস্টেমে যে ফল্টের কারনে প্রতিটি ফেজে সমপরিমাণ ফল্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয় সে ফল্টকে সিমেট্রিক্যাল ফল্ট বলে। সিমেট্রিক্যাল ফল্টের মাধ্যমে সার্কিট ব্রেকারের রেটিং নির্ধারণ করা হয়। সিমেট্রিক্যাল ফল্ট গুলো হলো- তিন ফেজ একত্রে শর্ট সার্কিট, তিন ফেজ একত্রে আর্থের সাথে শর্ট সার্কিট।
২: আনসিমেট্রিক্যাল ফল্ট: বৈদ্যুতিক সিস্টেমে যে ফল্টের কারনে প্রতিটি ফেজে অসম ফল্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয় সে ফল্টকে আনসিমেট্রিক্যাল ফল্ট বলে। আনসিমেট্রিক্যাল ফল্টের মাধ্যমে রিলে সেট করা হয়। আনসিমেট্রিক্যাল ফল্ট গুলো হলো- সিংগেল লাইন টু গ্রাউন্ড ফল্ট, লাইন টু লাইন ফল্ট, ডাবল লাইন টু গ্রাউন্ড ফল্ট, দুই ফেজ একত্রে শর্ট সার্কিট এবং তৃতীয় ফেজ আর্থের সাথে শর্ট সার্কিট।
শর্ট সার্কিট কারেন্ট নির্নয়ের পদ্ধতি তিনটি-
১: Ohmic system
২: Per unit system
৩: percentage reactance system
কারেন্ট লিমিটিং রিয়েক্টর: কারেন্ট লিমিটিং রিয়েক্টর মূলত একটি ইন্ডাক্টিভ কয়েল, যা প্রয়োজনের সময় ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্ট্যান্স প্রদান করে শর্ট সার্কিট কারেন্টকে সীমিত করে রাখে।
গঠনের উপর ভিত্তি করে এর প্রকার হচ্ছে- ড্রাই টাইপ এয়ার কোরড রিয়েক্টর, আয়রন কোর রিয়েক্টর, ওয়েল ইমার্জড এয়ার কোরড রিয়েক্টর।
অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এর প্রকার হচ্ছে- জেনারেটর রিয়েক্টর, ফিডার রিয়েক্টর, বাসবার রিয়েক্টর।
অল্টারনেটরের ত্রুটি সমূহ:
১: স্টেটর ওয়াইন্ডিং ফল্ট।
২: স্টেটর ইন্টার টার্ন ফল্ট।
৩: রোটর ফল্ট।
৪: ফিল্ড সার্কিট অচল হয়ে যাওয়া।
৫: আনব্যালেন্স লোড।
৬: ওভার লোডিং।
৭: ওভার স্পীড।
অল্টারনেটরের ত্রুটি নিরূপনে ব্যাবহৃত প্রটেকশন সিস্টেম গুলো হলো-
১: ডিফারেন্সিয়াল অথবা মার্জ প্রাইস প্রটেকশন।
২: আর্থ ফল্ট প্রটেকশন।
৩: স্টেটর ইন্টার টার্ন প্রটেকশন।
ট্রান্সফরমারের ত্রুটি সমূহ হলো-
১: ওপেন সার্কিট ফল্ট।
২: ওভার হিটিং ফল্ট।
৩: ওয়াইন্ডিং শর্ট সার্কিট ফল্ট। ( আর্থ ফল্ট, ফেজ টু ফেজ ফল্ট, ইন্টার টার্ন ফল্ট)
ট্রান্সফরমারের ত্রুটি নিরূপনে ব্যাবহৃত প্রটেকশন সিস্টেম গুলো হলো-
১: বুখলজ রিলে।
২: আর্থ ফল্ট রিলে।
৩: ওভার কারেন্ট রিলে।
৪: ডিফারেন্সিয়াল বা মার্জ প্রাইস সিস্টেম।
ওভার ভোল্টেজের কারন গুলো হলো-
পাওয়ার সিস্টেমে ট্রান্সমিশন লাইনে ওভার ভোল্টেজ প্রধানত দুই কারনে হয়-
১: অভ্যন্তরীণ কারন। (ক. সুইচিং সার্জ, খ. ইন্সুলেশন ফেইলার, গ. আর্কিং গ্রাউন্ড, ঘ. রেজোনেন্স।
২: অনাভ্যন্তরীন কারন। (ক. ডাইরেক্ট স্ট্রোক, খ. ইন্ডাইরেক্ট স্ট্রোক।)
আমাদের লেখা তখনই স্বার্থক হবে যখন আপনারা কিছু শিখতে পারবেন। লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করুন। এতে আমরা লিখতে অনুপ্রাণিত হই। কমেন্ট সেকশনে পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।