ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সিস্টেম

No Comments





ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সিস্টেম সম্পূর্ণ (পর্বঃ ১,২,৩ এবং ৪)

খুব মূল্যবান একটা লেখা। শেয়ার করে টামলাইনে রেখে দিতে পারেন।

মোটামুটি আমরা সকলেই পাওয়ার সিস্টেম নামটার সাথে পরিচিত। সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে অনেক বড় একটা ক্ষেত্র এই ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সিস্টেম। এই পুরো ক্ষেত্র বা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে। সব গুলো ধাপ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। 

পর্ব: ১ (এই পর্বে থাকছে ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, বিদ্যুতের উৎস, ফিডার, গ্রীড সিস্টেম, ট্রান্সমিশন লাইন ট্রান্সপজিশন, লো ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন ও হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশনের মধ্যকার ব্যবধান ইত্যাদি)

*বৈদ্যুতিক শক্তির উৎস (Source of Electrical Power): পানি, বাতাস, সূর্যের আলো, জীবশ্ব জ্বালানি, নিউক্লিয়ার এনার্জি ইত্যাদি। 

আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেম বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এসি বা ডিসি দুইভাবেই হতে পারে। এসি ব্যবস্থায় ট্রান্সমিশন তিন ফেজ তিন তার এবং ডিস্ট্রিবিউশন ক্ষেত্রে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সাধারণত ব্যবহৃত হয়।

*সাধারণত একটি আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদান সমূহ (Elements of a modern AC Power System):
১. উৎপাদন কেন্দ্র। 
২. স্টেপ আপ কেন্দ্র। 
৩. ট্রান্সমিশন লাইন। 
৪. সুইচিং স্টেশন।
৫. স্টেপ ডাউন উপকেন্দ্র। 
৬. প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন বা নেটওয়ার্ক। 
৭. সার্ভিস ট্রান্সফর্মার।
৮. সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন।

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এর জন্য কতিপয় স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। জেনারেটর এর ক্যাপাসিটি, জেনারেটিং ভোল্টেজয ট্রান্সমিশন লাইনের দৈর্ঘ্য, স্ট্যান্ডার্ড ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ, স্ট্যান্ডার্ড ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজের প্রতি লক্ষ্য রেখে সিস্টেমের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধাজনক মান নির্ধারণ করা হয়।

চিত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে গ্রাহক পর্যায়ে পর্যন্ত বিদ্যুৎ প্রেরনে যে ধাপগুলো অতিক্রম হয় তার চিত্র দেখানো হয়েছে।

*ট্রান্সমিশন লাইন (Transmission Line): বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে উচ্চ পাওয়ার ট্রান্সমিশন এর জন্য যে উচ্চ ভোল্টেজের বিশাল সার্কিট গড়ে তোলা হয় সেটি ট্রান্সমিশন লাইন। অধিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন এর জন্য ট্রান্সমিশন লাইন সিঙ্গেল সার্কিট, ডাবল সার্কিট, ত্রিপল সার্কিট হয়ে থাকে। অপারেটিং ভোল্টেজ এর ভিত্তিতে ট্রান্সমিশন লাইন দুই প্রকার: 
  ১. প্রাইমারি ট্রান্সমিশন: 400KV,230 KV, 132 KV
  ২. সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন: 33KV

*ট্রান্সমিশন লাইন অর্থাৎ শর্ট, মিডিয়াম এবং লং লাইনের বৈশিষ্ট্য( Feature of short, medium and long Line):
১. শর্ট ট্রান্সমিশন: যদি কোন ট্রান্সমিশন লাইনের দৈর্ঘ্য 80KM এর কম হয় এবং লাইন ভোল্টেজ 20KV এর কম হয় তবে তাকে শর্ট ট্রান্সমিশন লাইন বলে।
২. মিডিয়াম ট্রান্সমিশন: যদি কোন ট্রান্সমিশন লাইনের দৈর্ঘ্য 80 কিলোমিটারের বেশি কিন্তু 200KM এর কম হয় এবং লাইন ভোল্টেজ 20KV এর বেশি কিন্তু 100 KV এর কম হয় তবে তাকে মিডিয়াম ট্রান্সমিশন লাইন বলে।
৩. লং ট্রান্সমিশন: যদি কোন ট্রান্সমিশন লাইনের দৈর্ঘ্য 200KM এর বেশি হয় এবং লাইন ভোল্টেজ 100KV এর বেশি হয় তবে তাকে লং ট্রান্সমিশন লাইন বলে।

*ট্রান্সমিশন লাইন ট্রান্সপজিশন(Transposition in Transmission Line): ট্রান্সমিশন লাইন ট্রান্সপজিশন করলে প্রত্যেক লাইনের গড় ইন্ডাক্টান্স ক্যাপাসিট্যান্স সমান হয় ফলে ভোল্টেজ রেগুলেশন পরিবহন দক্ষতা অপেক্ষাকৃত উন্নত হয়।
  
*ডিস্ট্রিবিউশন লাইন (Distribution Line): গ্রাহক পর্যায়ে অর্থাৎ দোকানপাট বাড়িঘর শিল্প-কারখানা প্রভৃতি স্থানে বৈদ্যুতিক পাওয়ার পৌঁছে দেওয়া বা বিতরনের জন্য যে সার্কিট গড়ে তোলা হয় সেটি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন। এতে অনেক শাখা থাকে এবং অসংখ্য ট্যাপিংয়ের মাধ্যমে সার্ভিস সংযুক্ত থাকে।ভোল্টেজ এর ভিত্তিতেডিস্ট্রিবিউশন লাইন দুই প্রকার:
   ১. প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন: 11 KV
   ২. সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন: 400V, 220V.

*ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে সরবরাহ ও এর ধরন (Supply and Supply style in Transmission and Distribution system):
বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে AC 3Phase-3wire পদ্ধতি সর্বাধিক প্রচলিত। ডিস্ট্রিবিউশন এর ক্ষেত্রে AC 3Phase-4wire পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত। এছাড়া ও যে সকল পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন করা যায় তা হলো:
1. DC system: (DC two wire, DC two wire mid point earthed, DC three wire system.)
                          
2. Single phase AC system: (Single phase two wire, single phase two wire mid point earthed, Single phase three wire.)

3. 2phase AC system: (Two phase three wire, Two phase four wire)

4. 3phase AC system: (Three phase three wire, Three phase four wire.)

*গ্রীড সিস্টেম (Grid system): একাধিক পাওয়ার প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তি কে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নির্দিষ্ট উচ্চ মানের ভোল্টেযে ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে সম্মিলিত সরবরাহ করার ব্যবস্থা কে গ্রিড বলে।

*ফিডার(Feeder): বিভিন্ন জনবহুল এলাকা শিল্পাঞ্চল বা আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র বা গ্রীড উপকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিমিত্তে যে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মিত হয় তাকেই ফিডার বলে অর্থাৎ এটা হলো উচ্চ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হতে নিম্নচাপ এর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র মধ্যে সংযুক্ত লাইন।

*ফিডারের বৈশিষ্ট্য (Feature of Feeder):
১. ফিডারে কোন ট্যাপিং থাকেনা।
২. কারেন্ট ডেন্সিটি সর্বত্র সমান থাকে।
৩. কারেন্ট ক্যাপাসিটর এর উপর ভিত্তি করে ফিডার ডিজাইন করা হয়।
৪. ইহা একটি মোটা আকৃতির কেবল, যা সাব-স্টেশন থেকে কোন এলাকায় পাওয়ার ভিতরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫. ভোল্টেজ ড্রপকে তত গুরুত্ব দেওয়া হয় না কারন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা বিদ্যমান।

*হাই-ভোল্টেজ ট্রান্সমিশনের সুবিধা (Advantage of High voltage Transmission Line):
১. High Voltage Power transmission এ আয়তন কম লাগে।
২. High Voltage এ Transmission line এর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৩. High Voltage Transmission line এর ভোল্টেজ ড্রপ এর হার কম।
৪. Transmission line এর Voltage বেশী হলে Line Current এর পরিমান কমে যায়, ফলে Line লস এর মান কম হয়।

*লো-ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন এর সুবিধা (Advantage of Low voltage Transmission Line):
১. Line support এর পরিমান কম লাগে বলে খরচ কম হয়।
২. Transmission খরচ কম হয়।
৩. Ground Clearance & Conductor Spacing কম হলেও কোনো সমস্যা হয়না।
---------------------------------------------------------

পর্বঃ ২ (এই পর্বে থাকছে করোনা ইফেক্ট, স্কিন ইফেক্ট, প্রক্সিমিটি ইফেক্ট, ফেরান্টি ইফেক্ট, ক্রিটিকাল ডিসরাপ্টিভ ভোল্টেজ, ভিজুয়াল ক্রিটিকাল ভোল্টেজ)

★করোনা ইফেক্ট (Corona Effect): যখন দুটি কন্ডাক্টরের এস্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি AC Voltage প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয় তখন একটি বিশেষ পর্যায় আসে। এই বিশেষ পর্যায় কন্ডাক্টরের চারপাশের বাতাস Electrostatic stress হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসে ইন্সুলেশন ভেঙ্গে যায়। এ অবস্থায় হালকা বেগুনি রশ্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় সেটাই করোনা নামে পরিচিত।

★করোনার প্রভাব (Influence of Corona): 
   ১. কন্ডাকটরের চারপাশে বেগুনি রশ্মি দেখা যায়।
   ২. ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। 
   ৩. পাওয়ার লস হয়। 
   ৪. হারমোনিক্স কারেন্টের সৃষ্টি হয়।
   
★করোনা এর সুবিধা (Advantage of Corona): 
   ১. সার্জ ভোল্টেজ এর ফলে সৃষ্ট ট্রানজিয়েন্ট ইফেক্ট কে সীমিত রাখে বলে সুইচ গিয়ার এর সেফটি বাল্ব হিসেবে কাজ করে 
   ২. করোনার কারনে পরিবাহিদ্বয়ের মধ্যে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক স্ট্রেসের মান হ্রাস পেয়ে থাকে। কারন এসময় পরিবাহীর চারপাশের বাতাস পরিবাহী হিসেবে কাজ করে এবং পরিবাহীর ভার্চুয়াল ব্যাস বৃদ্ধি পায়।
   
★করোনা এর অসুবিধা (Disadvantage of Corona) : 
   ১. পাওয়ার লস হয়।
   ২. দক্ষতা হ্রাস পায়।
   ৩. ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। 
   ৪. ক্যামিক্যাল রিএকশন এর কারণে পরিবাহী ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
   ৫. নিকটবর্তী কমিউনিকেশন লাইনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
   ৬. ইনসুলেটর ও পেজের মধ্যে ফ্লাশ ওভার ভোল্টেজ এর সৃষ্টি হয়। 
   ৭. প্রচুর হার্মনিক্স এর উৎপত্তি হয়।
   
★ক্রিটিক্যাল ডিসরাপ্টিভ ভোল্টেজ (Critical Disruptive Voltage): সর্বনিম্ন যে ফেজ-টু-নিউট্রাল ভোল্টেজে করোনা সংঘটিত হয় তাকে ক্রিটিক্যাল ডিসরাপ্টিভ ভোল্টেজ বলা হয়।

★ভিজুয়াল ক্রিটিক্যাল ভোল্টেজ (Visual Critical Voltage): সর্বনিম্ন যে ফেজ-টু-নিউট্রাল ভোল্টেজে করনার আলো চারপাশে দৃশ্যমান হয় তাকে ভিজুয়াল ক্রিটিক্যাল ভোল্টেজ বলা হয়।

★স্কিন ইফেক্ট (Skin Effect) : এসি বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহির ভিতরে প্রবেশ না করে উহার সারফেস দিয়ে প্রবাহিত হতে চেষ্টা করে এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে।
স্কিন ইফেক্ট এর কারনে লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়, ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায়।

★ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্টের প্রভাব (Influence of Skin Effect in Transmission Line): স্কিন ইফেক্ট এর কারনে লাইনে রেজিস্টেন্স বৃদ্ধি পায় ফলে যখন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তখন লসও বৃদ্ধি পায়। লাইনের ব্যাস বৃদ্ধি পেলে স্কিন ইকফেক্টও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ট্রান্সমিশন লাইন এ কন্ডাক্টরের আকারের উপর স্কিন ইফেক্ট নির্ভর করে।

★স্কিন ইফেক্ট কমানোর উপায় (Way of Reduce the Skin Effect): 
   ১. কন্ডাক্টরের ব্যাসার্ধ কমিয়ে। 
   ২. নন ম্যাগনেটিক পদার্থ ব্যবহার করে। 
   ৩. ফাপা সিলিন্ডার আকৃতির কন্টাক্টর ব্যবহার করে। 
   ৪. ব্যারেল আকৃতির কন্টাক্টর ব্যবহার করে। 
   ৫. স্ট্যান্ডার্ড কন্ডাকটর ব্যবহার করে। 
   ৬. এ্যালমুনিয়াম কন্ডাকটর ব্যবহার করে।
   
★প্রক্সিমিটি ইফেক্ট (Proximity Effect): যখন একটি বিদ্যুৎ-পরিবাহীর পাশে আরেকটি বিদ্যুৎ-পরিবাহী থাকে তখন এর ফ্লাক্স পাশের কারেন্ট-পরিবাহীতে ইন্ডিউসড হয়। এই ফ্লাক্স এর ফলাফল উভয় কন্ডাকটরের দূরবর্তী অর্ধাংশের চেয়ে নিকটবর্তী অর্ধাংশে বেশি দেখা দেয়। ফলে অসম কারেন্ট বন্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায় রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে।
(বিঃদ্রঃ প্রক্সিমিটি ইফেক্টের সময় যদি উভয় কারেন্ট বহিঃ কন্ডাক্টরে প্রবাহিত কারেন্টের বিপরীতমুখী থাকে তাহলে উভয় কন্ডাক্টরের পাশাপাশি সংযুক্ত অংশের দিকে কারেন্ট ডেনসিটি বৃদ্ধি পায়। আর যদি কারেন্ট একই দিকে প্রবাহিত হয় তাহলে পাশাপাশি স্থাপিত অবস্থায় উভয় কন্ডাক্টরের দূরবর্তী অংশের দিকে কারেন্ট ডেনসিটি বৃদ্ধি পায়।)

★প্রক্সিমিটি ইফেক্টের প্রভাব (Influence of Proximity Effect):
প্রক্সিমিটি ইফেক্টের প্রভাবে কন্ডাক্টরে অসম কারেন্ট বন্টনের সৃষ্টি হয় ও রেজিস্টেন্স বৃদ্ধি পায় এবং সেলফ রিয়্যাকট্যান্স এর মান হ্রাস পায়।

★প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কমানোর উপায় (Way of Reduce the Proximity Effect):
   ১. ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ কম রেখে। 
   ২. কন্ডাক্টরের এস্পেসিং বৃদ্ধি করে। 
   ৩. স্ট্যান্ডার কন্ডাকটর ব্যবহার করে।
   
★ফেরান্টি ইফেক্ট (Ferranti Effect): মাঝারি ও লম্বা ট্রান্সমিশন লাইন লোড বিহীন অথবা খুব অল্প লোড সংযুক্ত থাকলে একটি লিডিং চার্জিং কারেন্ট প্রবাহের কারণে প্রেরনপ্রান্ত অপেক্ষা গ্রহণ প্রান্তে ভোল্টেজের মান বেশি হতে দেখা যায় এই ফেনোমেনন কে ফেরান্টি ইফেক্ট বলে।
---------------------------------------------------------

পর্ব: ৩ (এই পর্বে থাকছে ওভারহেড ও আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের বিস্তারিত) 

★ওভারহেড লাইন (Overhead Line): ওভারহেড অর্থই হচ্ছে মাথার উপরে। মাথার উপর দিয়ে যে লাইনটা টানা হয় সেটাই ওভারহেড লাইন। 
★ওভারহেড ট্রান্সমিশন (Overhead Transmission): ওভারহেড ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্ট্রেস পরে পরিবাহী ও নিউট্রালের মধ্যে। সেজন্য সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে সম পাওয়ার, সমদূরত্ব, সমলসে পাওয়ার প্রেরনের নিমিত্তে সর্বোচ্চ ভোল্টেজ পরিবাহীও নিউট্রাল তারের তার মধ্যে বিবেচনা করা ভালো। 

★প্রধান বিবেচ্য বিষয়গুলো (Main consideration) : Cost, Life, Brittle, Weight, Resistance, Power loss, Tensil strength, Low specific-gravity, Temperature Co-efficient, shorter Sag.

★ওভার হেড লাইনে ব্যবহৃত প্রধান অংশ সমূহ হলো(Equipment of overheadline):
1. Conductor. 
2. Supports.
3. Insulator.  
4. Cross arms.
5. Others-phase plates. 
6. Danger plate.
7. Lighting arrestors.  
8. Anti-climbing wires.
9. Ground wires.   
10. Bird guards. 
11. Vibration damper.  
12. Jumpers.
13. Fuses & Isolating switch. 

★ওভার হেড লাইনে ব্যবহৃত পরিবাহী গুলো হলো (Conductors of overhead line): 
1. Hard Drawn Copper.
2. Cadmium copper conductor.
3. Steel cored copper conductor.
4. Copper weld conductor.
5. Aluminium.
6. Hard drawn Aluminum.
7. All aluminum conductor.
8. All aluminum alloy conductor.
9. Aluminum conductor steel reinforced. (ASCR) (ACCC)

★ওভারহেড লাইনে ব্যবহৃত সাপোট গুলি হল (Supports of overhead line):
 1. Wooden poles. (A type, H type, T type)
 2. Renforced concrete poleas. (11KV, 33KV)
 3. Tubular poles. (33KV)
 4. Latticed poles. ( 33KV)
 5. Griders. (33KV)
 6. Rails (66KV, H frame)
 7. Towers. (Narrow or board base type)
 
★লাইন সাপোর্টে যে সমস্ত গুণাবলী সমূহ থাকা উচিত (essential qualities of line support):
১. যান্ত্রিকভাবে শক্ত ও মজবুত
২.ওজনে হালকা
৩. দামে সস্তা ও দীর্ঘস্থায়ী
৪. রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হওয়া উচিত
     

★ওভার হেড লাইনে ব্যবহৃত ইন্সুলেটর (Insulators of overhead line): 
1. Pin type.
2. Suspension/Disc type.
3. Strain type.
4. Shecle type.

★ইনসুলেটর এর উপাদান ( Elements of insulator) : চিনামাটি, গ্লাস, স্টিয়েটাইট, পাইরেক্স। তবে সবচেয়ে উত্তম ইন্সুরের উপাদান হলো চকচকে চিনামাটি।

★ইন্সুলেটরের গুণাবলী সমূহ (Qualities of Insulator) : যান্ত্রিকভাবে শক্ত ও মজবুত, উচ্চমানের বৈদ্যুতিক রোধ সম্পন্ন, উচ্চ মানসম্পন্ন রিলেটিভ পারমিটিভিটি, পাংচার স্ট্রেঙ্থ ও স্পার্ক ওভার ভোল্টেজ এর অনুপাত উচ্চমানসম্পন্ন।

★ওভার হেড লাইনে ওভার ভোল্টেজ তৈরি হওয়ার অভ্যন্তরীণ কারণ হলো: 
রেজোনেন্স এর জন্য, 
সুইচিং অপারেশন, 
ইন্সুলেশন নষ্ট হওয়া, 
আর্থিং অর্থ।

★ওভার হেড লাইনে ওভার ভোল্টেজ উৎপন্ন হওয়ার বাহ্যিক কারন হল: 
ডাইরেক্ট লাইটেনিং স্টক।
ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন।

★ওভারহেড পদ্ধতির সুবিধা অসুবিধা (Advantage and disadvantage of overhead line): জন নিরাপত্তা কম, প্রাথমিক খরচ কম, সিস্টেমর নমনীয়তা বেশি, ফল্ট এর পরিমান বেশি, ফল্ট চিহ্নিতকরণ ও মেরামত করা সহজ, কারেন্ট ক্যাপাসিটি বেশি, নিকটবর্তী কম্যুনিকেশন সার্কিটে বাধাবিঘ্ন ও নয়েজের সৃষ্টি করে।

★সেফটি ফ্যাক্টর (safety factor): Puncture strength & Flash over voltage এর অনুপাতকে সেফটি ফ্যাক্টর বলে।

★স্ট্রিং দক্ষতা (String efficiency): স্ট্রিং এর মোট ভোল্টেজ এবং ডিস্কের সংখ্যা গুনীতক পরিবাহীর সবচেয়ে নিকটবর্তী ডিস্কের আড়াআড়িতে ভোল্টেজের অনুপাতকে স্ট্রিং দক্ষতা বলে।

★স্যাগ (Sag): যে কোনো টাওয়ার দুইটির যে বিন্দুতে তার টানা বা সংযোগ করা হয় সে বিন্দু দুটির সংযোজনকারী আনুভূমিক কল্পনিক রেখা হতে তারের সর্বোচ্চ ঝুলে পড়া বিন্দু পর্যন্ত দুরুত্বকে ঝুল বা স্যাগ বলে। অর্থাৎ পরিবাহীর সর্বনিম্ন বিন্দু এবং সাপোর্টদ্বয়ের সমতলের পার্থক্যকে স্যাগ বা ঝুল বলা হয়।
______________________________________

★আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন (Underground line): যে মাটির নিচ দিয়ে যে লাইন টানা হয় তাই আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন। 
পাওয়ার যপখন আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলের মাধ্যমে পরিবহন করা হয় তখন দুই পরিবাহীর ইন্সুলেশনের উপর বেশী চাপ পড়ে। এক্ষেত্রে তামার সাশ্রয়ের জন্য দুই পরিবাহীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোল্টেজ বিবেচনা করা হয়।

★আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল (Underground Cable): 
1. Low tension. (max 1KV).
2. High tension. (Max 11KV)
3. Super tension. (Max 33KV)
4. Extra High tension. (Max 66KV)
5. Extra super tension. (Max 132KV)

On the other hand:
1. Oil filled cable. (Single core oil filled cable used up to 132KV, Three core oil filled cable used up to 66KV)
A. Self contained circular type.
B. Self conteined flat type.
C. Pipe type.
3. Gas paessure cables. (External pressure cables, Internal pressure cable)

★একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের বিশেষ অংশগুলো হলো(parts of underground cable):
1. Serving.
2. Armouring.
3. Bedding.
4. Lead sheath.
5. Paper insulation. 
6. Conductor.

★আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের বিশেষ সুবিধা (Special advantage of underground line): 
> দৃশ্যমান নয় বলে পরিবেশে ব্যঘাত সৃষ্টি করেনা।
> লো ইএমএফ
> করোনা ডিসচার্জ নেই।
> বুশ ফায়ার ঘটেনা।
> বজ্রপাত জনিত কোনো সমস্যা হয়না।
> সর্বোচ্চ জননিরাপত্তা বজায় রাখে 
> কর্মদক্ষতা ভালো।
> বৃষ্টি, তুষারপাত, ধোয়া, বজ্রপাত সহ যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে বেশী নির্ভরযোগ্য। 
> চুরি হওয়ার কোনো সম্ভবনা নাই।
> মেন্টেইনেন্স খরচ কম।
> জায়গা অপচয় হয়না।
> ভুমি এবং ভবনের ভ্যালু কমায় না।
> উচ্চ নির্ভরযোগ্য এবং প্রাপ্যতার নিশ্চিত এক সিস্টেম।

★আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের অসুবিধা (Disadvantage of Underground line): 
> Primary cost is very high. (need 5X to 10X extra in compare of overhead line)
> Fault identification and maintenance is very difficult.
> Low current capacity. 
---------------------------------------------------------

পর্ব: ৪ (এই পর্বে থাকছে সাবস্টেশনের বিস্তারিত)

সাব স্টেশন (Sub-station): বৈদ্যুতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় উপকেন্দ্র সরঞ্জামাদির ব্যবস্থাপনা যাহা বিভিন্ন প্রকার বৈশিষ্ট্য যেমন ভোল্টেজ, এসি টু ডিসি, ফ্রিকুয়েন্সি, পাওয়ার ফ্যাক্টর, প্রভৃতির পরিবর্তনের সাহায্য করে থাকে। এই ধরনের কেন্দ্রকে সাবস্টেশন বল।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গ্রাহকের মাঝখানে সাবস্টেশন একটি মাধ্যমিকে স্টেশন যেখানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে একাধিক ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি কে গ্রহণ করে ট্রান্সফরমারের সাহায্যে বিভিন্ন মানের সরবরাহ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।

সাব স্টেশনের গুরুত্ব (Importance of Sub-station): 
১. ট্রান্সমিশন এ সাব স্টেশনের মধ্যে পাওয়ার হাউজে উৎপাদিত মিডিয়াম ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে বৃদ্ধি করে দূরে প্রান্তে প্রেরণ করা যায়।
২. সাব ষ্টেশনের মাধ্যমে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা যায়।
৩. ফ্রিকোয়েন্সী পরিবর্তন করার জন্য সাবস্টেশনের প্রয়োজন হয়।
৪. এসি কে ডিসি বা ডিসি কে এসি তে পরিবর্তন করার জন্য সাবস্টেশনের প্রয়োজন হয়।
৫. সুইচিং সাবস্টেশনের মাধ্যমে ইনকামিং এবং আউটগোয়িং লাইনে সুইচিং অপারেশনে সম্পূর্ণ করা হয়।
৬. হাই ভোল্টেজ ও লো ভোল্টেজ সুইচ গিয়ার, সার্কিট ব্রেকার, আইসোলেটর, রিলে ইত্যাদি স্থাপনের জন্য সাবস্টেশন প্রয়োজন হয়।

ইনডোর এবং আউটডোর সাবস্টেশনের উপাদান (Elements of indoor and outdoor Sub-station):
1. Primary breaking devices. 
2. Transformer and its secondary switching device.
3. Switchgear lineup.
4. Lighting arrester.
5. Isolator.
6. Instrument transformer.
7. Power Transformer.
8. DC supply unit.
9. Panel board.
10. Control desk.
11. Earthing switch. 
12. Relay.
13. Metres and instruments.
14. Transducer and SCADA.
15. Cables and bus ducts
16. Control and communication wire/cables and many more...

সাবস্টেশন স্থাপনে মূল বিবেচ্য বিষয় (Main consideration of build a Sub-station): 
1. Primary voltage.
2. Secondary voltage.
3. Location.
4. Transformer type.
5. Primary breaking device type.
6. Secondary switching device type.

সাবস্টেশনের প্রকার (kinds of Sub-station):
1. Transmission substation: এই সাবস্টেশন ২ অথবা তার অধিক ট্রান্সমিশন লাইনকে সংযুক্ত করে। এই ধরনের সাবস্টেশন হাই ভোল্টেজ সুইচ ব্যবহার করে লাইনকে সংযুক্ত রাখার জন্য আইসোলেটর থাকে ফল্ট দূরকরন ও মেরামতের জন্য। এই সাবস্টেশন দুইটি ট্রান্সমিশন ভোল্টেজকে কনভার্ট করার জন্য ট্রান্সফরমার ব্যবিহার করে৷ ভোল্টেজ কন্ট্রোলের জন্য ক্যাপাসিটর, রিয়েক্টর অথবা স্টেটিক VAR ব্যবহার করে, এখানকার ট্রান্সফরমার ফেজ শিফটিং এর মত কাজও করে থাকে।
2. terminal substation: টার্মিনাল সাবস্টেশন এমন সাবস্টেশন যা পাওয়ার সরবরাহের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থান করে।
3. Transformer substation: ট্রান্সফরমার সাবস্টেশন এমন একটি বিন্দু যেখানে ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ লেভেলকে স্টেপ ডাউন করা হয়, এরপর এটাকে ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশন লেভেলে নিয়ে যাও হয় একটি ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশনে প্রেরনের জন্য। এছাড়া ট্রান্সমিশন সাবস্টেশন থেকে সাব-ট্রান্সমিশন লেভেলের পাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে দেওয়া হয়।
4. Distribution Substation: ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশন গ্রাহকের খুব কাছেই অবস্থিত থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশন টান্সমিশন পাওয়ার অথবা সাব-ট্রান্সমিশন পাওয়ারকে ডিস্ট্রিবিউশন লেভেলে রূপান্তর করে। যা ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কমার্শিয়াল, রেসিডেন্সিয়াল কাস্টমারদের দেওয়া হয়। এবং এদের সেকেন্ডারী আউটপুট নিম্ন লেভেলের গ্রাহকদের বিতরণ করা হয়।
5. unit substation: ইউনিট সাবস্টেশন একটি এমন সাবস্টেশন যেখানে ইলেক্ট্রিক্যালি এবং মেকামিক্যালি সংযুক্ত এক বা একাধিক ট্রান্সফরমারকে এবং এক বা একাধিক সুইচগিয়ারের সহ অবস্থান করে। সেকেন্ডারী সাবস্টেশন একটি ইউনিট সাবস্টেশন নামে সংজ্ঞায়িত হয় যার ১আউটগোয়িং সর্বোচ্চ ১০০০ ভোল্টেজ।
7. collector substation. : এটা স্থাপিত থাকে ডিস্ট্রিবিউশন সাইডের বিপরীত দিকে যা সাধারনত টারবাইন কিংবা এরূপ কোনো উৎপাদকের এর ভোল্টেজকে গ্রীডে যোগ করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। এই ধরনের বানিজ্যিক উৎপাদক প্রায় ১১কেভি থেকে ৩৩ কেভি এর মধ্যে উৎপাদন করে যা স্টেপ আপ করে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে যোগ করে।

সার্ভিস অনুযায়ী সাবস্টেশন 2প্রকার (Kinds of Sub-station according to service):
1. Static Substation.
2. Converting Substation.

 কার্যের ভিত্তিতে ছয় প্রকার (Kinds of Sub-station according to Work):
 1. Primary High voltage substation.
 2. Secondary High voltage substation.
 3. Industrial substation.
 4. Power factor correction substation.
 5. Frequency changer substation.
 6. Direct current substation.

ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর ভিত্তি করে চার প্রকার (Kinds of Sub-station according to instrument):
1. Transformer substation.
2. Rotary substation.
3. Rectifier substation.
4. Motor generator substation.

এ সকল প্রশ্ন অনেক সময় চাকরির ভাইভাতে করা হয়।
                                
                                  সংগৃহীত